পিপীলিকা সার্চ ইঞ্জিনঃ প্রতারণা এবং বেইমানির অপ্রকাশিত ইতিহাস - প্রায়শঃ জিজ্ঞাসিত প্রশ্নসমূহঃ
পিপীলিকার এত স্বীকৃতি, খ্যাতি ও সাফল্যের এর পিছনে রুহুল আমিন সজীবের অবদান সবচেয়ে বেশি
আমরা অস্বীকার করি না যে বিনিয়োগ সংগ্রহ, নেতৃত্ব প্রদান ইত্যাদি বিষয়ে তার অবদান অনেক এবং তাকে ছাড়া হয়তো পিপীলিকার এর সফলতা আসত না সত্যি। তবে তার অবদানকে ছয় বা একশ দিয়ে গুন করলেও উনার যে অবদান হতে পারত তা দিয়েও তাকে অন্য কারো অবদান অস্বীকার করার নৈতিক বৈধতা দেয় না। উনার যতই অবদান থাকুক উনি মূল কয়েকজনের প্রাপ্য স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত করেছেন।
আগে কেন এই বিষয়ে আওয়াজ তুলেন নি?
মূলত কয়েকটি কারণে, আমাদের পরীক্ষার ফলাফল তৎকালীন সময়ে অপ্রকাশিত থাকায় আমরা শঙ্কিত ছিলাম যে এই ব্যপারটি নিয়ে আলোচনা আমাদের একডেমিক বা ভবিষ্যৎ কর্মজীবনে কোন নেতিবাচক প্রভাব ফেলে কিনা! তাছাড়া ভবিষ্যতে উচ্চ শিক্ষার জন্য তার রিকোমেন্ডেশন লেটার আমাদের জন্য অতি প্রয়োজনীয় ছিল। পাশাপাশি, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগ আমাদের কাজের জন্য বাংলাদেশে অনেক সুনাম অর্জন করছিল। আমরা চাই নি সেই সুনামের সময়ে দাবি তুলে কোন প্রকার কালিমা লিপ্ত বা সুনামক্ষুন্ন করতে। আমরা ২০১১-১৩ সময়কালে পিপীলিকায় নানান বৈষম্যের শিকার হয়েও বেশি উচ্চবাচ্য করি নি। তবে ঐ সময়েই রুহুল আমিনের সেচ্ছাচারিতার ফলে তৈরি হওয়া এইসব নিপীড়নের কথা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আমরা আমাদের বিভাগের কতিপয় অগ্রজ ভাইদের ইমেইলের মাধ্যমে অবহিত করি যা বর্তমানেও সংরক্ষিত আছে।
তাহলে এখন কেন এই ব্যাপারটি নিয়ে কথা বলছেন?
আমরা শুরুতে ভেবেছিলাম হতে পারে এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বা নিছক ভুল বুঝাবুঝি। কষ্ট পেলেও এটি নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়িতে আমরা বিশ্বাসি ছিলাম না। কিন্তু পরবর্তী বছর গুলোতে একই রকমের অনেক ঘটনার সাথে আমাদের ঘটনার মিল থাকায় আমরা বুঝতে পারি যে আমাদের সাথে যে প্রতারণা তিনি করেছেনে এটা মোটেও বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা নয়, বরং এই ধরনের প্রতারণা তার একটি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। সর্বোস্ব দিয়ে কাজ করার পর এই ধরনের প্রতারণার স্বীকার কারো কি ধরনের মানষিক যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে সেটা আমরা বুঝতে পারি। আমাদের সাথে ঘটানো এই প্রতারণা তার প্রথম ছিল, এবং আমরা মুখ বুঝে সহ্য করে যাওয়ায় মনে হয় আমরাই হয়তো তাকে এই ধরনের ঘটনা বার বার ঘটানোর সুযোগ করে দিয়েছি। এই জন্য আমাদের অনুজদের রুহুল আমিন রূপি প্রতারক শিক্ষকদের হাত থেকে রক্ষা করতে এই প্রতারনার ঘটনার সত্যতা জনসম্মুখে প্রকাশ করাকে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করছি।
এই ঘটনার ইন্টারনেটে প্রকাশিত সংষ্করনের উদ্দেশ্য কি?
এক কথায় যা সত্য ঘটনা তা প্রকাশ এবং এই রকম শিক্ষকরূপি প্রতারকদের মুখোশ উন্মোচন। যেহেতু বাংলাদেশ অথবা অন্যান্য দেশের সহজ সরল পরিশ্রমী মানুষ গুলো প্রায়ই মেধাস্বত্ত প্রতারণার স্বীকার হয়, হচ্ছে, তাই আমরা চাই আমাদের এই ঘটনা জেনে সবাই একাডেমিয়াতে ছদ্মবেশি শিক্ষকরূপি প্রতারকদের থেকে সতর্ক হতে পারে এবং এই ধরনের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে তাই আমাদের এই প্রচেষ্টা।
পিপীলিকা পুরষ্কার পাওয়ার আগেই এখানে আরো ৩০/৩৫ জন কাজ করেছে। সেখানে আপনারা শুধু মাত্র একটা পার্ট ছিলেন
পিপীলিকা ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে শুধু বুরহান এবং চিশতি শুরু করে। পরবর্তীতে আমাদের গবেষনার সময় বিভাগের অন্যান্য ভালো কিছু গবেষনার ফলাফল আমরা আমাদের পিপীলিকাতে অন্তর্ভুক্ত করি। কিন্তু সেই সব গবেষনা ছিল আলাদা আলাদা বিষয়ের গবেষনা সার্চ ইঞ্জিন নিয়ে নয়। এর ভেতরে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ২০০৪ ব্যাচের আবু নাসের ভাইয়ের বাংলা স্পেল চেকার ও তালহা ভাইয়ের ক্রাওলার। উল্লেখ্য পিপীলিকায় আলাদা ক্রাওলার (যা ২০১৭-তে আরো উন্নয়ন করে ১০ বছরের বাংলা সংবাদের তথ্য সংগ্রহে ব্যবহার করা হয়েছে এবং জিটহাবে রাখা আছে) থাকার পরেও আমরা তালহা ভাইয়ের ক্রাওলার উন্নত হওয়ায় সেটি ব্যবহার করি। এছাড়া বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ২০০৩ ব্যাচের মানস দা, সুহাগ ভাই ও বেঞ্জামিন ভাইয়ের তৈরি একুশে ফাইন্যান্স সার্চ ইঞ্জিন যা ছিল একটি ফাইনান্সিয়াল সার্চ ইঞ্জিন বাংলা সার্চ ইঞ্জিন নয়। পিপীলিকা এবং একুশে ফাইন্যান্স প্রায় একই সময়ে তৈরি করা সতন্ত্র দুইটি প্রজেক্ট যাদের বৈশিষ্টও ভিন্ন। ২০০৩ ব্যাচের ভাইয়েরা চলে যাওয়ার পরে আমরা আমাদের গবেষনার প্রয়োজনে তাদের সার্চ ইঞ্জিনের কাজেও রুহুল আমিন সজীবের অনুরোধে উন্নয়নের কাজ করি এবং পরবর্তী এর ফাইন্যান্সিয়াল সার্চের বৈশিষ্ট গুলো আমাদের পিপীলিকা সার্চ ইঞ্জিনের সাথে যুক্ত করি।
এই সমন্নিত সার্চ ইঞ্জিনে অনেক নতুন বৈশিষ্ট আমরা যুক্ত করি। এর ভেতরে আছে
১) ডাটাবেজ ভিত্তিক ইন্ডেক্সিং থেকে লুসিনি ভিত্তিক (Lucene) ইন্ডেক্সিং ২) সম্পূর্ন নতুন উদ্ভাবিত বাংলা এনালাইজার (যা আগে লুসিনিতে ছিল না এবং যেই কাজ টি করার পরে প্রথম লুসিনিতে ভাঙা বাংলা শব্দ এবং যুক্তবর্ণ ঠিকঠাক কাজ করতে শুরু করে) ৩) ডিস্ট্রিবিউটেট সিস্টেম ব্যাবহার করে ক্লাস্টার কম্পিউটারে তথ্য সংগ্রহ (ক্রাওল) ও সংরক্ষন (স্টোরেজ) ৪) ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত তথ্য পরিষ্কারের জন্য জেনেরিক পারসারের উদ্ভাবন ৫) অন্যন্য গবেষনালব্ধ ফলাফলকে (যেমন আবু নাসের ভাইয়ের বাংলা বানান পরীক্ষক ও তালহা ভাইয়ের ক্রাওলার) পিপীলিকাতে সংযুক্ত করা ৬) তখনকার সময়ের চেয়ে আধুনিক প্রিমিয়াম ইউজার ইন্টারফেস ইউজার এক্সপেরিয়েন্স এবং বাংলা সার্চ ইঞ্জিনের ধারণার সাথে মিল রেখে নামকরন ও লোগো ডিজাইন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যায়নরত সাধারণ দুই ছাত্রের নির্মিত এই প্রফেশনাল প্রিমিয়াম লুক পরবর্তীতে পিপীলিকাকে ফান্ডিং পেতে সহযোগিতা করেছে।
পিপীলিকা পুরস্কার পাওয়ার আগে কাদের কাজ আমরা আমাদের প্রজেক্টে ব্যবহার করেছি বললাম। সব গুলো ভিন্ন ভিন্ন গবেষনার ফলাফল। তাদের কেউ ক্রাওলার বা বাংলা স্পেল চেকার বা একুশে ফাইন্যান্স সার্চ ইঞ্জিনের উদ্ভাবক। আর আমরা পিপীলিকা বাংলা সার্চ ইঞ্জিনের উদ্ভাবক। আর এই প্রজেক্ট গুলোর সুপার ভাইজার রুহুল আমিন সজীব। এই পাচ ছয় জনের বাইরে কারো কাজ পিপীলিকাতে যুক্ত হয় নি। ৩০-৩৫ জনের কথা বলা রুহুল আমিন মিথ্যাবাদী। পিপীলিকা সার্চ ইঞ্জিনে অবদানের জন্য আমাদের এই প্রিয় বড় ভাইয়েরা স্বীকৃতি অবশ্যই পেতে পারে, তবে দুই বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে এত কিছু করার পর কাল্পনিক আরো ২৫-৩০ জনের কথা বলে পিপীলিকা সার্চ ইঞ্জিনের মূল উদ্ভাবক বুরহান ও চিশতীকে অস্বীকার করা একটা পুকুর চুরি প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়। এই ধরনের বক্তব্য শুধু মাত্র একজন রুহুল আমীনের পিপীলিকার একমাত্র মুখ হবার ঘৃন্য চক্রান্ত ছাড়া আর কিছুই নয়।
পিপীলিকার জিপিআইটির বিনিয়োগ দিয়ে বানানো পরবর্তী প্রজেক্টটি অনেক বড়, আমাদের প্রজেক্টটি প্রটোটাইপ বা ডেমোমাত্র
এই দাবিটি চুড়ান্ত হাস্যকর। একটা বড় ব্রীজ যখন বানানো হয়, সেটার প্রথমে ছোট করে প্রটোটাইপ বানিয়ে সব কিছু কাজ করবে কিনা দেখা হয় তারপর মূল ব্রীজের কাজে হাত দেয়া হয়। তাতে প্রটোটাইপ - যেখানে সব রকমের পরীক্ষা নিড়িক্ষা করে নেয়া হয় তার অবদান কোনো অংশে কমে যায় না কারন সব ধরনের উদ্ভাবন ঐ প্রটোটাইপের জন্যই করে নিতে হয়। আমাদের ভার্শনটি হয়তো এক হাজার ইউজার জন্য বানানো, ঐটি দশ লাখ - কিন্তু নতুন সব কিছুর উদ্ভাবন আমাদের সার্চ ইঞ্জিনেই করা হয়েছে। এই ঘটনাটি কে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এর ভাষায় বলে স্কেলিং (Scaling)। এর পরে হয়তো অবশ্যই নতুন নতুন বৈশিষ্ট যুক্ত করা হয়েছে কিন্তু মনে রাখতে পিপীলিকার ফান্ডিং কিন্তু যোগাড় হয়েছে আমাদের কাজকে প্রদর্শন করার মাধ্যমে। জিপি আইটি অবশ্যই রুহুল আমিন সজীবের চেহারা বা সিজিপিএ দেখে বিনিয়োগ করে নি। তারা বিনিয়োগ করেছে আমাদের গবেষনা লব্ধ প্রজেক্ট দেখে, সেটিকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে এবং ভবিষ্যত সম্ভাবনা দেখে। কাজেই এই ধরনের দাবি যে কোন মানদন্ডে চুড়ান্ত হ্যাস্যকর - শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা মাত্র
অন্য কোন ছাত্রের কোনো অভিযোগ নাই, আপনাদের অভিযোগ কেন?
অথবা তারা টের পায় নি কি ঘটনা ঘটেছে, অথবা সাহস পায় নি মুখ খোলার, নয়তো শুধু মাত্র পরীক্ষা পাশের জন্য করেছে তাই এতটা ভাবে নি, আর না হলে শিক্ষককে ভালোবেসে সর্বোস্ব তাকে দিয়ে দিয়েছে সেটা অন্যরা ভালো বলতে পারবে। তবে অন্য কারো সাথে ঘটেনি বলে যে আমাদের সাথে ঘটা প্রতারনা মিথ্যে হয়ে যাবে এমন দাবী করাও ভিত্তিহীন। আমাদের সমস্ত অভিযোগ সত্য এবং সেটা জন্য যথেষ্ট পরিমাণ প্রমাণ আমাদের হাতে রয়েছে।
আপনারা পিপীলিকাতে বেতনভুক্ত কাজ শুরু সময়ে যুক্ত হন নি কেন?
পিপীলিকাতে আমাদের যুক্ত হওয়ার আগেই রুহুল আমিন সজীব আরো দুইজনকে আমাদের টিম লিড ও আমাদের কে তাদের ডেপুটি হিসেবে নিয়োগ দিবেন বলে ঘোষনা দেন। এদের ভেতরে একজনের টিম ওয়ার্ক করার ক্ষমতা, ও কমিউনিকেশনে দুর্বলতা ছিল এবং আমাদের সাথে সম্পর্কও খুব ভালো ছিল না, রুহুল আমিন সজীব সেই বিষয় টি আগে থেকে জানার পরেও স্বেচ্ছাচারীভাবে তাকেই আমাদের টিম লিড করার চেষ্টা করেন। দুই বছর ধরে এই প্রজেক্টে কাজ করায় আমাদের মতামতের কোনো গুরুত্ব না দিয়ে অনেকটা একনায়কতান্ত্রিকভাবে তিনি আমাদের টিম লিড ঠিক করেন। টিমের কাজের পরিবেশ বজায় রাখার জন্য আমরা তাতে আপত্তি প্রকাশ করি কিন্তু স্বেচ্ছাচারি রুহুল আমিন তাতে কোনো প্রকার কর্নপাত করেন নি। যেই জন্য আমরা পিপীলিকা প্রজেক্টে সরাসরি যুক্ত হতে চাই নি পরবর্তীতে। তবে তিনি চাইলেই আমাদের কে রিমোট পার্ট টাইমার হিসেবে রাখতেই পারতেন। কিন্তু ঐ বিশেষ একজনকে আমাদের দলনেতা বানানোর পিছনে রুহুলের আমিনের উদ্দেশ্যই ছিল আমরা যাতে এখানে যোগদান না করি।
পরবর্তীতে অবশ্য আমরা জানতে পারি রুহুল আমিন মুহম্মদ জাফর ইকবালসহ অন্যান্য শিক্ষকদের কাছে রটিয়েছেন যে আমরা ঢাকার চাকরিতে অনেক বেতন পাই এবং আমাদের টাকার লোভ এত বেশি যে অল্প বেতনে আমরা পিপীলিকাতে যোগদান করতে ইচ্ছুক নই।
রুহুল আমিন ছাড়া শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য কোন শিক্ষক এই প্রতারণার অংশ ছিল?
না। আর কেউ এই বিষয়ে অবগত ছিলেন না। বা আমরা কারো কাছে কখনো কোন অভিযোগ নিয়ে যাই নি। অন্য কোন শিক্ষক এই মেধাস্বত্ব প্রতারণার অংশ ছিলেন না। পরবর্তীতে জিপিআইটি বিনিয়োগ করার পর তাদের অনেকেই এই প্রজেক্টে বিভিন্ন পদে কাজে যুক্ত থাকতে পারেন কিন্তু তারা কেউই এই প্রতারণার বিষয়ে অবগত ছিলেন না এবং এই অন্যায়ের সাথে যুক্ত ছিলেন না। অন্য কারো বিপক্ষে আমাদের কোনো অভিযোগ নেই।
পিপীলিকা প্রজেক্টের প্রজেক্ট ডিরেক্টর ছিলেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল, তার কাছে কেন অভিযোগ করেন নি?
রুহুল আমিনের প্রতারণার ঘটনাটা ঘটেছেই মুহম্মদ জাফর ইকবাল প্রজেক্ট ডিরেক্টর হওয়ার আগে। তাছাড়া স্বীকৃতি নিয়ে অসন্তুষ্টির বিষয় টি আমরা পিপীলিকা উদ্ভোদনের পরপরই রুহুল আমিন সজীব কে ফেসবুক মেসেঞ্জারে জানিয়েছিলাম (যার প্রমাণ এখনো আছে)। রুহুল আমিন তখনই আমাদের অসন্তুষ্টির ব্যপারটি খারিজ করে দেন এবং জানান যে সে নাকি সব ঠিকঠাক স্বীকৃতিই দিয়েছেন। তো আমরা যেহেতু তাকে শিক্ষক ছাড়াও একজন বিশ্বাসযোগ্য বড় ভাইয়ের মত দেখতাম, তো তিনিই যখন বলে ফেলেছেন যে সব নাকি ঠিকঠাক দেয়া হয়েছে তো আমাদের আর কারো সাথে এই ব্যাপারে কথা বলার রুচি হয় নি। তাছাড়া "আমি একটা বড় জিনিস বানিয়েছি, এইটার স্বীকৃতি আমাকে দেয়া হয় নি" এই ব্যাপারে উচ্চবাচ্চ্য করতে অস্বস্তি কাজ করেছে।
পিপীলিকা নিয়ে পেপার কেন পাব্লিশ করেন নি?
পিপীলিকায় আমাদের কাজ নিয়ে একাধিক পেপার পাব্লিশের সুযোগ থাকার পরেও আমরা কোনো পেপার পাব্লিশ করি নি। এর মূল কারণ হচ্ছে আমাদের পেপারের প্রথম অথার নিয়ে রুহুল আমিন সজীবের জোরাজোরি এবং তার বিরোধিতা করায় পেপার লিখা নিয়ে অসহযোগিতা। একদিন চা এর টং এ ডেকে তিনি আমাদের এই প্রস্তাব দেন যে যেহেতু পিপীলিকার কাজটা বেশ বড় হয়ে গেছে এবং আমরা উচ্চ শিক্ষায় যেতে খুব একটা আগ্রহী নই তাই পেপারে উনি নাম আগে দিতে পারেন কিনা। যেই বিষয় টি আমাদের পছন্দ হয় নি কারন দুই বছর কাজ করার সময় টানা উৎসাহ দিয়ে গেছেন এই বলে যে ভালো একটা রিসার্চ হলে কার নাম আগে আসবে আমার না তোমাদের? সেখানে সত্যি সত্যি বেশ ভালো একটা কাজ হয়ে যাওয়ার পর উনি কিনা বলছেন উনার নামটা আগে দেয়া হোক? আমাদের যেহেতু সিজিপিএ খুব একটা ভালো ছিল না, তাই আমাদের নামে একটা ভালো রিসার্চ পেপার আমাদের অনেক দুর এগিয়ে নিতে পারত এবং এই জিনিস আমাদের বার বার বলেই উনি আমাদের এত পরিশ্রম করতে উৎসাহ দিয়ে গেছেন সবসময়। ব্যাপারটা তাই আমার তখন ভালো লাগে নি এবং আমি ব্যাখ্যা চাই তার কাছে যে এভাবে আমাদের বলে কাজ করানোর পর উনার নাম আগে দেয়ার পেছনে সঠিক যুক্তিটি আসলে কি? - উনি কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি। উপরোন্তু এরপরে আমরা যতবারই তার কাছে পেপার লিখে নিয়ে গেছি উনি মুছে দিয়েছেন এই বলে যে কিছুই হয় নি।
কোন পেপারে সে জোর করে প্রথম অথার হয়েছে। আমাদের পেপারে জোর করে প্রথম অথার হওয়ার চেষ্টা করার প্রমান কি?
অনেক ছাত্র দাবি করেছে সে ভালোবেসে রুহুল আমিনকে তার পেপারে আগে নাম লিখতে দিয়েছে। এই বিষয়ে আমরা এখানে কথা বলতে চাই না। তবে ২০২১ এর ক্ল্যাশের সময় রুহুল আমিন ধরে নিয়েছিলেন চা এর টং এ তার প্রথম অথার হবার মৌখিক প্রস্তাবের প্রমান আমাদের কাছে নেই। এই জন্য তার সাঙ্গপাঙ্গ প্রমান চেয়ে আমাদেরকে হয়রানি করে। খুবই আফসোসের বিষয় যে তখন আমরা এই বিষয়ে কোনো প্রমান উপস্থাপন করতে পারিনি। মৌখিক আলাপের দলিল কিভাবে থাকবে?
তবে সৃষ্টি কর্তার অশেষ কৃপায় তার ৬ মাস পরে আমরা ঠিকই এর অকাট্য প্রমাণ এক যুগের আগের ইমেইলে খুজে পাই যা এই ওয়েব সাইটের প্রমানসমূহ অংশে দেয়া আছে।