পিপীলিকা সার্চ ইঞ্জিনঃ প্রতারণা এবং বেইমানির অপ্রকাশিত ইতিহাস
পিপীলিকা সার্চ ইঞ্জিন বাংলাদেশের ও বাংলাভাষায় প্রথম সার্চ ইঞ্জিন। ২০১৩ সালে অফিসিয়ালি উদ্ভোদনের আগে পরে এই প্রযুক্তি নিয়ে মাতামাতি কম হয় নি। টেক্সট বইয়ে জায়গা করে নেয়া, কোটি টাকার ফান্ডিং, মিডিয়া কভারেজ, নাম-যশ, ব্র্যান্ডিং কোনো কিছুতেই কমতি ছিল না। অথচ সবার অগোচরে রয়ে গেছে পিপীলিকা সার্চ ইঞ্জিনের একটি কালো ইতিহাস। যেখানে অরিজিনাল ইনভেন্টর 'বুরহান' এবং 'চিশতি' কে কৌশলে আড়ালে রেখে এই প্রযুক্তির মেধাসত্ত্ব নাম যশ অর্থ একক ভাবে ভোগ করে গেছেন 'রুহুল আমিন সজীব' নামের একজন ভয়ঙ্কর একাডেমিক ম্যালপ্রাক্টিশিয়ান। আসল ইন্টভেন্টরদের কাছ থেকে পিপীলিকা হাইজ্যাক করে নিজেই ইনভেন্টর সেজে বসা এই শিক্ষকরূপী এই মেধাসত্ত্ব চোর শুধু পিপীলিকাকে ভোগ করে নি, মিথ্যা তথ্য সাজিয়ে সবাইকে বিভ্রান্ত করে গেছেন প্রায় এক যুগ। এই ন্যাক্কারজনক ইতিহাস আসল ইনভেন্টররা সকল প্রমাণাদি হাতে থাকার পরেও কখনো প্রকাশ করেন নি।
বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগের সুনাম রক্ষার্থে বিষয়টি কে গোপন রাখা হয়েছে প্রায় এক যুগ। অত্যন্ত দুঃখজনক ভাবে পিপীলিকার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে গোপন রাখা হলেও সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে 'রুহুল আমিন সজীব' শুধু মাত্র পিপীলিকা কেলেঙ্কারিতে থেমে নেই। প্রায়ই অনেকটা একই ধরণের গল্প আসল ইন্টভেন্টরদের কাছে আসতে থাকে। যেখানে 'রুহুল আমিন সজীব' পিপীলিকায় ঘটানো অপকীর্তির সাথে মিল পাওয়া যায়। ব্যাপারটি নিয়ে শাবিপ্রবি সি এস ই বিভাগে প্রমাণসহ লিখিত অভিযোগ জানানোর পরেও প্রায় দুই বছর সময়ে কোন সূরাহা পাওয়া যায় নি। যাকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সদিচ্ছার অভাব হিসেবে ধরে নেয়া যায়।
সম্প্রতি 'রুহুল আমিন সজীব' এর একই রকম আরো কিছু অপকর্ম সম্পর্কে পোস্ট অরিজিনাল ইনভেন্টরদের নজরে আসে। যেহেতু তারা অনেক বছর একটা বঞ্চনার ভেতর দিয়ে গিয়েছেন তারা খুব সহজেই বুঝতে পারেন এমন কিছু যখন কোন শিক্ষার্থীর সাথে ঘটে তা তার মানুষিক সাস্থ্যের উপর কি পরিমাণ ভয়ঙ্কর বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। তাই ২০২৩ সালের জুনের ১৮ তারিখ থেকে ফেসবুকে পাব্লিক ধারাবাহিক পর্ব আকারে পিপীলিকার মেধাস্বত্ব চুরির কালো ইতিহাসটি জনসম্মুক্ষে প্রকাশিত করা হয়।
ফেসবুকে প্রকাশিত সেই ধারাবাহিক পর্ব ও প্রমানগুলোকে গুছিয়ে একসাথে রাখার জন্যই এই প্রচেষ্ঠা। আমাদের গল্প জেনে যদি একজন শিক্ষার্থীও ভবিষ্যতে কোনো একাডেমিক ম্যালপ্রাক্টিশিয়ান এর থেকে প্রতারিত হওয়া থেকে বেচে যায় তাহলে আমাদের এই প্রচেষ্ঠা সফল মনে করব।
না বলা গল্পঃ
এখানে তিন পর্বের ধারাবাহিকে আমাদের সাথে ঘটে যাওয়া অন্যায় প্রতারণার বিস্তারিত দেয়া আছে।
-
প্রথম পর্ব - কুকীর্তির বিবরণঃ এই পর্বে রুহুল আমিনের মেধাসত্ব প্রতারণার একটি সাধারন ধারণা দেয়া হয়েছে এবং আমাদের সাথে ঘটানো কুকীর্তি গুলোকে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
-
দ্বিতীয় পর্ব - পিপীলিকার খুঁটিনাটিঃ এই পর্বে পিপীলিকার নামকরণের থেকে শুরু করে অন্যান্য প্রযুক্তিগত খুটিনাটি তুলে ধরা হয়েছে - যা বানোয়াটভাবে কারো পক্ষে লেখা সম্ভব নয়।
-
তৃতীয় পর্ব - ম্যানিপুলেশনঃ এই পর্বে রুহুল আমিন কিভাবে ধীরে চক্রান্ত করে পিপীলিকা প্রজেক্টটি কুক্ষিগত করেছেন এবং মূল উদ্ভাবকদের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরবর্তীতে তাদের বিতারিত করেছেন তার বিস্তারিত দেয়া আছে।
প্রমানসমূহঃ
আমরা যেহেতু কোনো মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করিনি, তাই আমাদের সাথে ঘটে যাওয়া মেধাস্বত্ব প্রতারণার প্রমান হিসেবে বিগত এক যুগের বেশ কিছু ইমেইল, ভিডিও, স্ক্রিনশট উপস্থাপন করে হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য এই প্রমাণগুলো ছাড়াও আমাদের কাছে আরো অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে। যা বিভাগের এবং কতিপয় ব্যক্তি বিশেষের সম্মান রক্ষার্থে প্রকাশ করা হয় নি, তবে প্রয়োজনে উপযূক্ত স্থানে প্রদর্শন করা হবে।
- রুহুলের স্বকণ্ঠে স্বীকৃতি
- প্রথম অথরশিপ নিয়ে জবরদস্তি
- রুহুলের আগে থেকেই ছিল পিপীলিকা
- নোংরা ডিভাইড এন্ড কনকুয়ার
- বিশ্ববিদ্যালয়ের পরেও পিপীলিকায় কাজ
- হিপোক্রাইসি?
ইনফোগ্রাফিকস
আমাদের বিস্তারিত গল্পের দ্রুত পাঠের জন্য চিত্রসহ সহায়ক সংক্ষিপ্ত আকারে রচিত ইনফোগ্রাফিকস