প্রথম বাংলা সার্চ ইঞ্জিন ‘পিপীলিকা’র মেধাসত্ত্ব চুরি এবং ‘শিক্ষক’ ডক্টর রুহুল আমিনের মুখোশ উন্মোচন - প্রমাণ ২
এই প্রমাণটি পড়লে ভালো করে জানতে পারবেন, কীভাবে আমাদের সাথে ভয়ংকর একাডেমিক ম্যালপ্রাক্টিসের মাধ্যমে তিনি পেপারে নিজের নাম আগে বসানোর চেষ্টা করে গেছেন এবং সে যাত্রায় সফল না হয়ে প্রতিশোধ হিসেবে আমাদেরকে আমাদেরই প্রজেক্ট থেকে বিতাড়িত করেছেন; এবং পরবর্তীতে আমাদের শ্রমে বানানো প্রজেক্টের প্রায় সম্পূর্ণ কৃতিত্ব তিনি একা ভোগ করেছেন এক দশক ধরে।
এই প্রমানটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তিনি ভেবেই নিয়েছিলেন প্রথম অথার হবার চেষ্টাটি তিনি শুধু মাত্র মৌখিকভাবে করেছেন এবং এই বিষয়টি আমরা কখনো প্রমাণ করতে পারব না। ২০২১ এর ক্ল্যাশের সময় এই বিষয়ে প্রমাণাদি আমরা তখনো খুঁজে পাইনি। এই সুযোগ নিয়ে তার মুরিদান সাঙ্গপাঙ্গ (যারা বর্তমানে অতি নিশ্চুপ) সোশাল মিডিয়ার একটি প্রাইভেট গ্রুপে আমাদের উপরে আক্রমন চালিয়ে হ্যারাসমেন্ট করে। কিন্তু পরবর্তীতে পেপারে সুপারভাইজরি লাস্ট অথার থেকে ফার্স্ট অথার বনে যাওয়ার অপচেষ্টার অকাট্য প্রমাণ আমরা খুঁজে পাই এক যুগ আগের ই-মেইলে।
Karma?
তিনি সরাসরি অস্বীকার গেছেন যে তিনি কখনো আমাদের কাজের ফার্স্ট অথারশিপ দাবী করেননি। ২০২১-এর ওই ক্ল্যাশের সময় তার এই জবরদস্তির প্রমাণ আমরা দিতে পারিনি। এই জন্য আমরা আপসেট ছিলাম কারণ টং-এর দোকানে বসে ওই আলোচনা কিভাবে আমরা প্রমাণ দিব। যদি দিতে পারতাম এটা হতে পারত সব চেয়ে মৌক্ষম প্রমাণ।
কিন্তু সৃষ্টিকর্তা সম্ভবত অদ্ভুত কিছু জিনিস karma এর জন্য রেখে দেন। ওই ঘটনার কয়েক মাস পরে আমি (বুরহান) কি মনে করে আবারো সজীবের সাথে সমস্ত ইমেইল সার্চ দেই এবং প্রায় ১০ বছর আগের একটা ইমেইল খুজে পাই। যেখানে তার জোর করে আগে নাম বসানোর চেষ্টার একদম মোক্ষম প্রমান মেলে।
ইমেইলটি তে দেখা যায় বুরহান একটি পেপারের এবস্ট্রাকট ড্রাফট করে তাকে পাঠিয়েছে এবং সে ওই ড্রাফট টি পরিবর্তন করে সবার আগে নিজের নাম, তারপর চিশতির, তারপর বুরহানের নাম বসিয়ে পাঠিয়েছেন।
খুব স্বাভাবিকভাবে বুরহান নামের এই অর্ডারিং এর ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছে। এবং ‘শিক্ষক’ সজীব কোনো সদুত্তর দেয়নি। সদুত্তর না পেয়ে বুরহানকে বলতে দেখা গেছে "Anyone will feel insulted here". অথচ পরবর্তীতে সিএসই সোসাইটির গ্রুপে সকল সদস্যের কাছে নাম আগে বসানোর ব্যাপারটি এই শিক্ষক সম্পূর্ণ রূপে অস্বীকার করেছেন ২০২১-এ। আমরা কি বলতে পারি না যে এখানে এই ‘শিক্ষক’ ভাইটি সত্য লুকানোর চেষ্টা করেছেন?
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি মিথ্যাচার / অস্বীকার
২০২১ সালে যখন একটি অভ্যন্তরীণ গ্রুপে এই বিষয় তর্ক শুরু হয় এবং উনার কাছে ক্লারিফিকেশন চাওয়া হয় যে কেন তিনি প্রথম অথার হতে চেয়েছিলেন? তিনি সরাসরি মিথ্যাচার করেন এবং বলেন তিনি জীবনেও প্রথম অথার হবার চেষ্টা করেন নি। উনি ভেবেই নিয়েছিলেন চা এর টং এ বলা এই জিনিসের কোনো প্রমাণ আমরা কখনো দিতে পারব না। অথচ এক যুগের আগের ইমেইলে তিনি প্রমাণ রেখে গেছেন নিজেই। একেই মনে হয় বলে কার্মা!!